ডেস্ক: মহাকাশ চিরকালীন বিস্ময় রহস্যময়। কিছু কিছু মহাজাগতিক দৃশ্য মানবকূলকে অবাকও করে দেয়। সম্প্রতি মহাকাশের এক বিস্ময় ছবি শেয়ার করেছে নাসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নানা মহাকাশের বিষয় ওও ছবি বা ভিডিয়ো শেয়ার করে এই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট অংশের ছবি পোস্ট করেছে তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে। যা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে,তার ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়ছে হ্যান্ড অফ গড!
সোনালী রঙা সেই হাতের আকৃতির মহাজাগতিক বস্তুটি ঠিক কী, তা জানতে উদগ্রীব সকলেই। নেটপাড়ায় ছবিটি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের তকমা, এটি ‘ঈশ্বরের হাত!’ মহাকাশের গভীর নিকষ কালো রঙের পটভূমিতে একটি সোনালী রঙের রূপরেখা দেখা গিয়েছে, যেটি দেখলে চোখের সামনে একটি হাতের মতো দেখতে লাগবে বিস্ময়কর এই রূপরেখাকেই ভগবানের হাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মনে হবে, একটি ফাঁকা জায়গা থেকে হাত একটি হাতের সদৃশ হাত বেড়িয়ে আসছে, মনে হবে কেউ একজন আর্শীবাদ করার জন্য হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মহাকাশে নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সোনালী রঙের হাতের মতো আকৃতির ওই বস্তুটি। মহাকাশে নজরে আসা ওই বস্তুটি আসলে কী, তা নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছে নাসা। মার্কিন এই গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, মহাকাশে একটি নক্ষত্র বিস্ফোরণ হয়। তারপর সেই নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেস থেকে উৎপন্ন শক্তি এবং কণার নীহারিকাই এই আকৃতি ধারণ করেছে। নাসা বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা এবং তথ্য অনুযায়ী, এখন এই হাত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তার অক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন দিকে। এই হাতের সাথে যে উজ্জ্বল মেঘের সংঘর্ষ হয়েছিল তার নাম RCW 89। এই মেঘের কেন্দ্র তাদের বিস্ফোরণের মূল স্থান থেকে ৩৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

নাসার বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি একটি সুপারনোভা (Supernova Explosion) বিস্ফোরণ ছিল, যার আলো পৃথিবীতে পৌঁছেছিল প্রায় ১৭০০ বছর আগে। সেই সময় পৃথিবীতে মায়া সভ্যতা ছিল। অথবা জিন সাম্রাজ্য চিনে শাসন করত। পুলসার কখনও কখনও নক্ষত্রের বিস্ফোরণে গঠিত হয়। এই মেঘের অনেক চুম্বক শক্তি আছে। এরা খুবই ঘন। তাদের শেষ করতে অনেক সময় লাগে। যাইহোক, এটি ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ছবি দেখে অনেকেই কমেন্টে জানিয়েছেন., এটাকে বলা ভাল মিদাসের হাত! একজন ইউজার লিখেছেন রূপকথার এক রাজার কথা বলা হয়েছে, যাঁর স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল। কেউ বলছেন, ঈশ্বর যেন পৃথিবীর উপর তাঁর আশীর্বাদের হাত রেখেছেন।