দেশে নতুন করে জিএসটি সংস্কারের ফলে সস্তা হচ্ছে একাধিক পণ্য। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আয়োজিত জিএসটি ২.০ আউটরিচ প্রোগ্রাম-এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, জিএসটি হার হ্রাসের ফলে দেশের প্রতিটি নাগরিক উপকৃত হবেন। দুর্গাপুজোর আগে গ্রাহকদের সুবিধা দিতেই এই সংস্কার কার্যকর করা হচ্ছে।
কোন ১১টি পণ্যের উপর জিএসটি হার কমল?
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বাংলার ১১টি ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর জিএসটি হার ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে। সেগুলি হল—
- শান্তিনিকেতনের চামড়াজাত পণ্য
- বাঁকুড়ার টেরাকোটা কারুশিল্প
- মধুরকাঠি মাদুর
- পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ
- দিনাজপুরের কাঠের মুখোশ
- মালদার প্রক্রিয়াজাত আম পণ্য
- দার্জিলিং চা
- পাটের ব্যাগ
এছাড়াও কিছু হ্যান্ডিক্রাফট ও কৃষিজাত পণ্যের উপর কর ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কী সুবিধা?
নতুন হারে জিএসটি চালু হলে বিস্কুট, সাবান ও টুথপেস্টের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও সস্তা হয়ে যাবে। জিএসটি কাউন্সিল এবার শুধু ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ— এই দুটি করহার অনুমোদন করেছে।
কোন পণ্যে দাম কমবে না?
তবে ছোট প্যাকেটের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে দাম কমবে না। এফএমসিজি সংস্থাগুলি জানিয়েছে—
- ৫ টাকার বিস্কুট
- ১০ টাকার সাবান
- ২০ টাকার টুথপেস্ট
এর মতো জনপ্রিয় পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
নির্মলা সীতারমন বলেছেন— “কর হারগুলি এলোমেলোভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও কৃষকদের সুবিধা দিতেই এই পরিবর্তন। এতে এমএসএমই খাত চাঙ্গা হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে।”
সার্বিকভাবে, জিএসটি সংস্কারের ফলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পপণ্য যেমন লাভবান হবে, তেমনই সাধারণ গ্রাহকও পুজোর আগে কিছুটা স্বস্তি পাবেন।