নয়াদিল্লি: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আপাতত ফের জেলবন্দি হওয়ার পথে বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডের ১১ দোষী। সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার। সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলার শুনানি হয়। বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে ২০২২ সালে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। গুজরাত সরকারের আসামীদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে ভুল বলে, ১১ জন আসামীকেই আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের সাজার মেয়াদ পূরণের আগেই মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানায়, ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার, তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। যে হেতু মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে হয়েছে, তাই মহারাষ্ট্র সরকারই পারে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, জেলের বাইরে বেরিয়ে আসার পরে দোষীদের ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বিতরণ করা হয় লাড্ডুও। এমনকি, গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের পাশে একই মঞ্চে দেখা যায় তাদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।