মথুরাপুরের মুকুন্দপুর গ্রামে গুনিনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার রাতে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মথুরাপুর থানার পুলিশ। মৃতের নাম বাবলু পাহাড়ি, যিনি মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় গুনিন ছিলেন। অভিযোগ, ঝাড়ফুঁকের জন্য ডাকা হয়েছিল তাঁকে, পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মী হালদারের মেয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছিল এবং সে ঠিকমতো খেতে পারছিল না। পরিবারে ধারণা হয়েছিল, মেয়েটির উপর কোনও আত্মার প্রভাব পড়েছে কিংবা ভূতে ধরেছে। তাই তারা বাবলু পাহাড়িকে ডেকে পাঠায়, যিনি এলাকায় গুনিন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
বাবলু পাহাড়িকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ, গুণিনকে ডেকে নেওয়ার পর তাঁর উপর শারীরিক আক্রমণ চালানো হয়, যার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়ফুঁক চলাকালীন বাবলু পাহাড়ি তরুণীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, যার ফলে মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে ঢুকে বাবলুকে মারধর করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মথুরাপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং দোষীদের কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাবলু পাহাড়ির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এখন ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ঘটনার জেরে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।