হালতু কাণ্ডে নতুন মোড়। লোন রিকভারির নামে মৃত সোমনাথ রায় ও তাঁর পরিবারকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। এর ফলে ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে হল তিন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কসবা থানার পুলিশ হালতুর পূর্বপল্লিতে পৌঁছিয়ে সোমনাথ, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ও ছোট ছেলে রুদ্রনীলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা দেখতে পায়। ঘরের ভিতরে দেওয়ালে লেখা ছিল কিছু নাম ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য। তদন্তে উঠে আসে সোমনাথের মামা ও মামির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের তথ্য। তাদের দু’জনকেই আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এবার তদন্তে উঠে আসে ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি এজেন্ট চঞ্চল মুখোপাধ্যায়ের নাম। অভিযোগ, একটি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ১০ লক্ষ টাকা লোন সংক্রান্ত বকেয়া আদায়ের জন্য সোমনাথের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে অপমান করতেন চঞ্চল। সুইসাইড নোটেও তাঁর নাম ছিল বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশের অনুমান, দেনার চাপে এবং মানসিক নির্যাতনে অবসাদগ্রস্ত হয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সোমনাথ। ঘটনার পিছনের আসল কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।