প্রথম পাতা খবর গুজরাট নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক পটেল

গুজরাট নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক পটেল

288 views
A+A-
Reset

কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক পটেল। হার্দিক প্যাটেল দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বুধবার সকালে টুইট করে এই কথা জানিয়েছে তিনি নিজে। টুইটে তিনি লিখেছেন, “আজ আমি সাহসের সঙ্গে কংগ্রেস পার্টির পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি”। এদিকে হার্দিকের মতো প্রথমসারির নেতার এমন সিদ্ধান্তে যে কংগ্রেসের উপরে চাপ বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই। বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে হার্দিক দল ছাড়ার অর্থই সংগঠনে ফাটলের লক্ষণ।

টুইটে তিনি লিখেছেন, ”আজ আমি সাহস করে কংগ্রেস পার্টির পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবেও ইস্তফা দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমার এই সিদ্ধান্তকে আমার সব সাথী ও গুজরাটের জনতা স্বাগত জানাবেন। আমি মনে করি, আমার এহেন পদক্ষেপের পরে ভবিষ্যতে গুজরাটের হয়ে সত্যিকারের সদর্থক ভাবে কাজ করতে পারব।”

গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে হার্দিক প্যাটেলের পদত্যাগ কংগ্রেসের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুজরাত দলের সিনিয়র নেতারা তাকে উপেক্ষা করছেন এবং ক্রমাগত সাইডলাইন করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছিল।গুজরাটের পাটিদার আন্দোলনের পোস্টার বয় হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গে কংগ্রেসে যে ব্যবহার করা হচ্ছিল তাতে তিনি বিরক্ত এবং পার্টি ছেড়ে দিতে পারেন এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্বদের মধ্যে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। সম্প্রতি নিজের টুইটার বায়ো থেকে ‘কংগ্রেস’ শব্দটি মুছে দেন গুজরাতের নেতা হার্দিক প্যাটেল।‌ হার্দিক যে রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বদের ওপর ক্ষুব্ধ তা কিছুদিন আগে নিজেই স্বীকার করেছেন। হার্দিক সেই সময় বলেছিলেন, ‘‌আমি রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওপর ক্ষুব্ধ নই। রাজ্য নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ।’‌
মন্তব্য করেছিলেন , ”আমি যেন নাসবন্দি হওয়া বর!” গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতির মুখে কার্যত বিজেপি বন্দনাও শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ”বিজেপির যে কিছু ভাল দিক আছে, তা মানতেই হবে।” এরপরই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি এবার হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরেই যাচ্ছেন তরুণ রাজনৈতিক নেতা? অবশেষে এই জল্পনা সত্যি করে দল ছাড়লেন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.