কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড শহর কলকাতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিন ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অর্থাৎ কালবৈশাখীর তুলনায় এবারের ঝড়ের দাপট ছিল অনেকটাই বেশি। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। শুধু কলকাতা কিংবা শহরতলি নয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গের ছবিটা কার্যত একই। একাধিক জায়গাতে ভেঙে পড়েছে গাছ। ভেঙে পড়েছে একাধিক ছোট বাড়িও।কলকাতার ইএম বাইপাস, ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি এলাকা, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, সুখেয়া স্ট্রিট, লালবাজার চত্বর, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ, মহত্মা গান্ধী রোড, বড়বাজার এলাকা, পার্কস্ট্রিট, এজেসি বোস রোড এলাকায় জল জমেছে। রেড রোড এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে, যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে কলকাতার অন্যতম ব্যাস্ত রাস্তাগুলিতে।
ব্যাপক ঝড়ে ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবাও। নেতাজি এবং মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশনের মাঝে আপ লাইনের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। আর তার জেরে কবি সুভাষ থেকে সব মেট্রোই বন্ধ করে দেওয়া হয়। দক্ষিণেশ্বর মেট্রো থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার অর্থাৎ টলিগঞ্জ পর্যন্ত আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। এ ভাবে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন অফিস ফেরত যাত্রীরা। যায় শিয়ালদহ স্টেশনের শেড। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শিয়ালদহ শাখার সব রুটের ট্রেন চলাচল। রেলের এই ঘোষণা শুনে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে কালবৈশাখীর। বিকেল সাড়ে ৪ টে থেকে ঝড় শুরু হয়, আর তখন থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবা থেমে যায়। একাধিক বিমান কলকাতায় অবতরণ করতে পারেনি বলে সূত্রের খবর।