প্রথম পাতা খবর বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

278 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত আন্দোলন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরে স্বস্তিতে আন্দোলনকারীরা। তাঁরা এই রায়কে তাঁদের নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে। এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ছাত্র বহিষ্কার অনেক বড় শাস্তি। ছাত্ররা সব ক্লাস করতে পারবেন। ছাত্ররা পড়াশোনা করবে। বিক্ষোভের জন্য সবার সমস্যা হবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে কোনও ধরনের আন্দোলন করা চলবে না বলে আজ জানিয়েছে হাইকোর্ট।

তবে এখনই আন্দোলন তুলে নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, পঠন-পাঠনে ফিরে যাওয়া সহ তাঁদের সব দাবি এখনও মেনে নেওয়া হয়নি। তাই আন্দোলন তোলা হবে কি না, সে ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ দিনের শুনানিতে ছাত্রদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘শাস্তি হিসেবে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় পড়ুয়াদের। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ছাত্ররা ভুল করলে ক্ষমা চাইবে ক্লাসে যাবে। এটা কী ধরনের আচরণ? বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ‘ধরে নিলাম ভিসি-র আচরণ খুব খারাপ। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা কোর্টে আসতে পারতেন। এ ভাবে প্রতিবাদ কেন? বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি আইন-আদালত করার আর্থিক সামর্থ্য নেই পড়ুয়াদের। তিনি  বলেন, ‘টাকা কোথায় ছাত্রদের?’

আরও পড়ুন: ফের সিবিআই তলব করল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ


বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি যে ছাত্রদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক হচ্ছে না। আমি ছাত্রদের সাসপেনশন তুলে দিতে বলছি। কিন্তু কোনও বাইরের লোক আসবে না। ছাত্ররা আন্দোলন বন্ধ করবে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাক গলানো চলবে না।’ ক্যাম্পাসে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অধ্যাপক ও ছাত্ররা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি বলেন,  “বিশ্বভারতীর উপাচার্য আইনের উর্ধ্বে নয়। লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে থাকতে পারে।  ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকেরা আদালতের কাছে আবেদন করবেন। আদালত তা বিবেচনা করবে।”

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.