বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। বুধবার, ৭ মে, প্রায় গোটা কয়েকটি রাজ্যে চালানো হবে যুদ্ধকালীন মহড়া। সন্ত্রাস ও সম্ভাব্য আকাশপথে হামলার মুখে নাগরিকদের সুরক্ষায় এই মক ড্রিলের আয়োজন করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সোমবারই বিভিন্ন রাজ্যকে নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, ছদ্ম অনুশীলন হবে যুদ্ধ পরিস্থিতির ভিত্তিতে। ২২ এপ্রিল পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে, এই প্রস্তুতি তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।
মক ড্রিলে যা যা দেখা যাবে:
- বাজবে এয়ার সাইরেন, সতর্ক করা হবে নাগরিকদের।
- চালানো হবে ব্ল্যাকআউট অনুশীলন—সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হবে হামলা পরিস্থিতিতে অদৃশ্য থাকতে।
- গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ক্যামোফ্ল্যাজে ঢাকা হবে যাতে উপগ্রহ চিত্র বা বায়ু হামলায় চিহ্নিত করা না যায়।
- নাগরিকদের সরানো হবে নিরাপদ এলাকায়, সেই অনুশীলনও হবে।
- স্কুল-কলেজে প্রশিক্ষণ চলবে—যুদ্ধ হলে কীভাবে আত্মরক্ষা করবেন, শেখানো হবে ছাত্রদের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধু সামরিক নয়, দেশের অগ্রাধিকার এখন নাগরিক প্রতিরক্ষা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত। পাল্টা জবাবও দিচ্ছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিটি সাধারণ নাগরিককে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য মানসিক ও প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য।