ডেস্ক: পুজোর আগে একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেছেন মমতা। প্লাবন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা নাগাদ কালীঘাটের বাসভবন থেকে বেরোন তিনি। তারপরে ১২টা নাগাদ ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে রওনা দেন তিনি। নামেন আরামবাগে।
রবিবার আকাশপথে রাজ্যের বিভিন্ন বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আরামবাগের কালীপুর এলাকায় যান। সেখানে জলে নেমে দূর থেকেই বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশ্বস্ত করেন। ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগ তোলার মধ্যেই একধাপ এগিয়ে জানালেন, ভবিষ্যতে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলমগ্ন আরামবাগে দাঁড়িয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলেন, ডিভিসির এই অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণেই জলের নিচে গ্রামের পর গ্রাম। ৮ টি জেলার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। আর তার জেরে হাওড়া, বীরভূম, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান – এর বিভিন্ন জায়গায় হু হু করে জল ঢুকছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনডিআরএফ নেমেছে। নবান্ন থেকে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, ফিরে গিয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মিটিং করব। আশা করি দ্রুত জল নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: গান্ধী জয়ন্তীতে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে টুইট রাজ্যপালের
মমতা বলেন, ‘একদিন আসবে এমন যে ডিভিসির থেকে আমাদের ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে। কারণ যদি চারবার করে জল আসে (তাহলে কী করার আছে)? এবার তো চারবার জল এসেছে। সব টাকা জলেই চলে যাচ্ছে। জলেই চলে যাচ্ছে টাকা। আর মানুষের তো ক্ষতি হচ্ছে। একবার বাড়ি সারাচ্ছেন, আবার ভেঙে যাচ্ছে, আবার সারাচ্ছেন, আবার ভেঙে যাচ্ছে। কতবার করে করবেন?’