উত্তরকাশী: সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে উত্তরকাশীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। একের পর এক পরিকল্পনা বিফল হওয়ায় এ বার শুরু হচ্ছে ম্যানুয়েল ড্রিলিং।
এর আগে বিদেশি অগার মেশিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায়, এখন খোলা রয়েছে ভরসার দুই পথ। গতকাল বারকোট ও সিল্কিয়ারার মাঝে পাহাড়ের ওপর থেকে শুরু হয়েছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং। এখনও পর্যন্ত ৩১ মিটারের বেশি অংশে গর্ত খোঁড়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া, পাহাড়ের ওপর থেকে কেটে আরও একটি লাইফ লাইন দ্রুত চালু করা হচ্ছে। লম্বালম্বি ভাবে পাহাড় কেটে তৈরি করা ৮৬ মিটার রাস্তাও শেষ হওয়ার মুখে। এই পথেও ওষুধ ও অন্য়ান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, টানেল থেকে অগার মেশিনের ভাঙা যন্ত্রাংশ বের করে আনার কাজ শেষ। এ বার শুরু হবে মানুষ দিয়ে পাথর কাটার কাজ। উদ্ধারকারীরা এখন এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। অবশিষ্ট ১০ থেকে ১২ মিটার ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য ম্যানুয়াল ড্রিলিং বা মানুষ দিয়ে পাথর কাটা হবে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্যান্য নিষ্কাশনের পরিকল্পনাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এর ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদ আহমেদ বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ড্রিলিং প্রক্রিয়া সফল ভাবে শেষ হবে, যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত বাধা আসে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৬ দিন ধরে টানেলের ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ভালো আছে। পাইপ দিয়ে ক্রমাগত শ্রমিকদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা উদ্ধার অভিযান পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।