১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি, মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস

নয়াদিল্লি: সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯০১ সালের পর থেকে উষ্ণতম। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত তা আরও ব্যাপক আকার নেবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

১৯০১ সালে আবহাওয়ার যথাযথ রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি ভারতে উষ্ণতম ছিল বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন (IMD)। মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতর জানায়, সারা দেশে সর্বোচ্চ গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এমনকী অনেক অংশে স্বাভাবিক গ্রীষ্মের চেয়ে বেশি গরমের পূর্বাভাস দিয়ে আরও তিক্ত দিনের ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমডি।

গ্রীষ্মের পূর্বাভাসে, আইএমডি বলেছে যে দিল্লি-এনসিআর সমেত উত্তর-পূর্ব, পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অংশে দিনের তাপমাত্রা “স্বাভাবিকের উপরে” থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বারের গ্রীষ্মের মরশুমে গত বছরের তুলনায় বেশি তাপপ্রবাহের দিন দেখা যেতে পারে। দক্ষিণ ভারত এবং মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিক গ্রীষ্মের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

গড় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উভয়ের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি ১৭ বছরের মধ্যে নিজের উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি রেকর্ড করেছে। সফদারজং-এ গত মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি এবং ১৯৫১ সাল থেকে ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।

বলে রাখা ভালো ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬০ সালে ছিল ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর পরের স্থানেই রইল ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি। এমনকী মাসে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে গত মাসে এক দিনও বৃষ্টি হয়নি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, গত বছরের ফেব্রুয়ারির গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

কোনো এলাকায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এমনিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার যা গড় থাকে, তার থেকে বেশি হলেও বলা চলে তাপপ্রবাহ হচ্ছে। সাধারণত মার্চের শুরু থেকে এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়। এ বার সেটা ফেব্রুয়ারিতেই জারি করেছে মৌসম ভবন।

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন