পাকিস্তান ব্যবহৃত একটি সম্ভাব্য চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ ও তুরস্ক-উৎপত্তির YIHA এবং Songar ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করল ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সোমবার দিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে এই ধ্বংসাবশেষগুলি প্রদর্শিত হয়, যা “অপারেশন সিঁদুর”-এর আওতায় ভারতের পাল্টা অভিযানে আকাশে সংঘটিত লড়াইয়ের প্রমাণস্বরূপ তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই প্রতিরোধমূলক অভিযান শুরু হয়।
ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কমান্ডাররা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে অভিযানের মূল সাফল্যগুলি তুলে ধরেন।
ডিরেক্টর জেনারেল (এয়ার অপারেশনস) এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানান যে ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি—বিশেষ করে আকাশ মিসাইল সিস্টেম—এই অভিযানে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের যুদ্ধ-পরীক্ষিত সিস্টেম সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে,” এবং এই উন্নয়নের পেছনে সাম্প্রতিক বাজেট ও নীতিগত সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
ডিরেক্টর জেনারেল (মিলিটারি অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বলেন সন্ত্রাসবাদের প্রকৃতি বদলাচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা বেড়েছে। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও পর্যন্ত পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছিল,” যা এক চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করায় ভারতের কড়া জবাব জরুরি হয়ে উঠেছিল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল (নেভাল অপারেশনস) ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ বলেন, “অপারেশন সিঁদুর”-এর সাফল্যের পেছনে তিন বাহিনীর যৌথ সমন্বয় ছিল গুরুত্বপূর্ণ, যা ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতিফলন।