পাকিস্তানের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মাঝে আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপ করে নিজেদের দীর্ঘ-পাল্লার নির্ভুল হামলার ক্ষমতা ও যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রদর্শন করল ভারতীয় নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই মহড়া দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় “যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে” তাদের প্রস্তুতির প্রমাণ।
নৌবাহিনীর শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ার এবং নীলগিরি ও ক্রিভাক ক্লাস ফ্রিগেটসহ একাধিক ফ্রন্টলাইন যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস অ্যান্টি-শিপ ও অ্যান্টি-সার্ফেস ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
#IndianNavy Ships undertook successful multiple anti-ship firings to revalidate and demonstrate readiness of platforms, systems and crew for long range precision offensive strike.#IndianNavy stands #CombatReady #Credible and #FutureReady in safeguarding the nation’s maritime… pic.twitter.com/NWwSITBzKK
— SpokespersonNavy (@indiannavy) April 27, 2025
এক অনলাইন পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, “ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি সফলভাবে একাধিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম এবং ক্রুদের দীর্ঘ-পাল্লার নির্ভুল আক্রমণের প্রস্তুতি প্রমাণ করে। ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, নির্ভরযোগ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য সজ্জিত।”
ভারতীয় মিসাইল উৎক্ষেপণের আগে পাকিস্তান একটি মেরিটাইম নোটিফিকেশন জারি করেছিল।
এই শক্তি প্রদর্শন হয়েছে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটার পর। ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর সেই হামলার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদী জলচুক্তি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানও সমস্ত দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা স্থগিত করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, যার প্রত্যেকটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্যকরী পাল্টা জবাব দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।