পাকিস্তানের জঙ্গি যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমলা
ডেস্ক: প্রথম সাক্ষাতেই কমলা হ্যারিসে মুগ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস(Kamala Harris)-কে সকলের কাছে “অনুপ্রেরণা” বলে অ্যাখ্যা দেন মোদী তাঁর মার্কিন সফরে। একইসঙ্গে ভারতে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে (White House) মুখোমুখি হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলাপচারিতা চলে।
এদিন ওয়াশিংটনে যৌথ বিবৃতি দিতে গিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন দুজনেই। মূলত করোনা পরিস্থিতি এবং টিকাকরন নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি মোদীকে পাশে নিয়েই আমেরিকার অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ হিসাবে ভারতকে চিহ্নিত করেন কমলা হ্যারিস।
কমলার প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে আপনার লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি পর্ব ছিল। গোটা বিশ্বজুড়েই আপনি অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আপনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্য (India US relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।”
কমলা হ্যারিসকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও আমেরিকার মূল্যবোধ অনেকটাই একরকম, রাজনৈতিক স্বার্থও এক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্কও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আমেরিকায় যেরকম জয়লাভ করেছেন, ভারতীয়রা চান আপনি আমাদের দেশে গিয়েও সেই ধারা বজায় রাখুন। সকল ভারতীয়ই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই কারণে আমি আপনাকে ভারত সফরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: ‘শাড়ি নাকি স্মার্ট পোশাক নয়’, দিল্লির রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারলেন না সাংবাদিক
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দুই দেশ অর্থাৎ আমেরিকা এবং ভারত যৌথ ভাবে কাজ করেছে। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, অতিমহামারী সময়ে অন্যান্য দেশের জন্যে ভারতই ছিল ভ্যাকসিনের অন্যতম উৎস।
বৈঠকে পাকিস্তানের জঙ্গি যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমলা। পাশাপাশি ইসলামাবাদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলির যোগাযোগের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি। ভারতীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানান যে মোদী-কমলা বৈঠকে তালিবান প্রসঙ্গও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ প্রসঙ্গে মোদীর সঙ্গে একমন কমলা। এই বিষয়ে শ্রীংলা বলেন, ‘বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উঠে আসে। ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজের থেকেই সেই সময় পাকিস্তানের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে সেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাজ করছে। তিনি পাকিস্তানকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন যাতে এই গোষ্ঠীগুলি মার্কিন নিরাপত্তা এবং ভারতের নিরাপত্তার উপর প্রভাব না ফেলে।’