ধর্মশালায় বৃহস্পতিবারের নজিরবিহীন ব্ল্যাকআউট সরাসরি প্রভাব ফেলেছে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল-এ।
রাত ৯:৩৫ নাগাদ, ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালীন (১০.১ ওভারের পর) খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধর্মশালা পাঠানকোট থেকে মাত্র ৯০ কিমি দূরে, যেখানে আগেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর মিলেছিল। এরপরই বিসিসিআই জরুরি বৈঠকে বসে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করে।
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং সরকারের পরামর্শ নিচ্ছি। কাল আইপিএল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতি প্রতিদিন বদলাচ্ছে। যা নির্দেশ পাওয়া যাবে, সেটাই করব এবং সব অংশীদারকে জানিয়ে দেব। আপাতত আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার খেলোয়াড়, দর্শক ও সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা।”
সূত্রের খবর, বিসিসিআই সম্ভাব্য বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি রেখেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে লিগ সাময়িকভাবে বন্ধ বা সূচি পরিবর্তনের পথেও হাঁটতে পারে বোর্ড।
জানা গেছে, হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এক শীর্ষ ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের ফোন পাওয়ার পরই ধর্মশালার ম্যাচ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর স্টেডিয়ামের লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দর্শকদের দ্রুত বের করে দেওয়া হয়।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালকে দেখা যায় বাউন্ডারির ধারে ঘুরে ঘুরে দর্শকদের বেরিয়ে যেতে ইঙ্গিত দিতে। দুই দলের খেলোয়াড়দের দ্রুত বাসে করে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এত দ্রুত পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয় যে, অনেকেই হোটেলে পৌঁছন প্যাড পরে।
এক খেলোয়াড় বলেন, “পাঠানকোটে হামলার খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলে ফিরতে বলা হয়। কিছুটা আতঙ্ক ছিল… দিল্লি ক্যাপিটালস পাঞ্জাবের বাসে, আর পাঞ্জাব খেলোয়াড়রা দিল্লির বাসে উঠেছিল। অনেক বিদেশি খেলোয়াড় বাড়ি ফিরতে চাচ্ছিল।”
এই অঞ্চলের বিমানবন্দর বন্ধ থাকায়, বিসিসিআই এখন ‘প্ল্যান বি’-তে কাজ করছে। রাজীব শুক্লা জানান, “আমরা দেখছি দিল্লি ট্রেনে পৌঁছনো যায় কি না। নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জানা গেছে, বিদেশি খেলোয়াড়দের পরিস্থিতি জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার আশ্বাস দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কেউ ফিরতে চাইলে ভ্রমণের ব্যবস্থা করবে বিসিসিআই। অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলিকেও জানানো হবে পরিস্থিতির আপডেট ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিসিআইয়ের অবস্থান।
এদিকে, একই দিনে, একটি ইমেল মারফত বোমা হুমকি পায় জয়পুরের সিএসএম স্টেডিয়াম, যেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি ম্যাচ হওয়ার কথা। ঘটনাটি নিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরের ডিসিপি (সাউথ) বলারাম। পুলিশ তদন্ত করছে মেলটি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে।