ডেস্ক: ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে পড়লেন খোদ যাদপুরের সাংসদ। ভ্যাকসিনও নিয়েছিলেন মিমিও। তবে শুধু মিমি নন, প্রত্যেকদিন গড়ে অন্তত ১০০ জন করে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওই ক্যাম্পে। এলাকার সব দোকানদারদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে গোটা বিষয় নিয়ে খটকা লাগে মিমির। এবং সাংসদের ততপরতার জেরেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রের পর্দা ফাঁস হল।এদিন সকালেই কসবা এলাকা থেকে ভুয়ো IAS পরিচয় দেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেব। তিনি নিজেকে আইএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। মিমিকে জানানো হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনার অফ কেএমসির উদ্যোগে ওই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে। মিমি চক্রবর্তীর কথায়, “মঙ্গলবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমাকে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। আমি টিকা নিলে তারা যদি আগ্রহী হয় সেই ভাবনা থেকে সেখানে যাওয়া।
কিন্তু এরপর টিকা নেওয়ার কোনও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং সার্টিফিকেট কোনও কিছুই না আসায় সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, “আমার লোকেরা সেখানে গেলে বলা হয় তিনদিনের মধ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে যাদের যাদের টিকাকরণ হয়েছে তাদের নামই রেজিস্টার করা হয়নি। এরপরই পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাদের সাহায্যে গ্রেফতার করাই।”
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন চালুর দাবি, সোনারপুর স্টেশনে অবরোধ নিত্যযাত্রীদের
গত কয়েকদিনে অন্তত কয়েক’শ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পুরসভা বলছে, তারা ভ্যাকসিনের বিষয়ে কিছু জানে না। প্রশ্ন উঠছে তবে কি লুকিয়ে কোথাও থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয়েছিল। যদি তাই হয়, তাহলে স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও কেন পৌঁছল না সে কথা? নাকি ভ্যাকসিনের বদলে অন্য কিছু দেওয়া হত? তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও প্রশাসন।
জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প।ঘটনার মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল আই কার্ড। এমনকি তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁর থেকে মেলে নীল বাতি যুক্ত গাড়িও।
এ প্রসঙ্গে বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, “কোনও টিকাকরণ শিবির হলে টিকা বরো থেকেই যায়। কোথায় ক্যাম্প হচ্ছে সেটা আমাদের জানানো হয়। এটা স্বাস্থ্য দফতরের আওতায় নয়, তখন আমি স্পেশ্যাল কমিশনারকে ফোন করলাম। টিকা কোথা থেকে আসল জানি না। পৌরসভা থেকে নেওয়া হয়নি। টিকা কোথা থেকে এল, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বার করবে।”