আর কদিনের অপেক্ষা, তারপরই শুরু হবে চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো। পুজোর প্রতি মানুষের গভীর আকর্ষণ তো রয়েছেই, তবে বিশেষ আকর্ষণ হলো এই পুজোর শোভাযাত্রা। প্রথমবারের মতো এই শোভাযাত্রাকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটি।
জগদ্ধাত্রী পুজোর অসাধারণ আলোকসজ্জা ও বিশালাকার প্রতিমা দেখতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন চন্দননগরে। চার দিনের পুজোর পর প্রধান আকর্ষণ থাকে শোভাযাত্রা, যেখানে লরি আলোকময় সাজে সজ্জিত থাকে, সুসজ্জিত প্রতিমা ও বিভিন্ন বাজনার তালে শোভাযাত্রার শোভা আরও বৃদ্ধি পায়। দর্শনার্থীরা রাজপথে জমায়েত হয়ে এই শোভাযাত্রা উপভোগ করেন।
বিশ্বের মানুষের জন্য এবার ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিটির সহ-সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানিয়েছেন, “চন্দননগর স্ট্র্যান্ড রোড ও তালডাঙায় দুটি ক্যামেরা সেট বসানো হবে, যেখান থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার হবে শোভাযাত্রার।” যারা শোভাযাত্রার দিনে আসতে পারেন না কিংবা যারা বিদেশে আছেন, তাদের জন্যই এই উদ্যোগ।
চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় ১৭৭টি পুজো কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে চন্দননগরের ১৩৩টি এবং ভদ্রেশ্বরের ৪৪টি পুজো কমিটি অন্তর্ভুক্ত। এই বছরের শোভাযাত্রায় ৬৯টি পুজো কমিটি অংশ নেবে এবং লরি থাকবে ২৪৫টি। গত বছরের তুলনায় এবারের শোভাযাত্রা আরও আকর্ষণীয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলবে শোভাযাত্রা। চন্দননগর প্রস্তুত, পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।