দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিচারপতি ইউইউ ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান। ৬৪ বছর বয়সি বিচারপতি ইউইউ ললিত বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উজ্জ্বল পদক্ষেপের নজির রেখেছেন নিজের কর্মজীবনে।
ইউইউ ললিত মুম্বইয়ের ল’ কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বোম্বে হাইকোর্টে প্র্যাক্টিশ করতেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দিল্লি চলে আসেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি জে সোবারজির সঙ্গে কর্মরত ছিলেন। বিগতদিনে বিচারপতি ইউইউ ললিত ২জি মামলায় সিবিআইয়ের পাবলিক প্রসিকিউটরের ভূমিকাও পালন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার পর থেকে বিতর্কিত ‘তিন তালাক’ মামলা-সহ একাধিক যুগান্তকারী মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৭ সালের অগস্টে ‘তিন তালাক’ প্রথাকে ‘অকার্যকর’, ‘অবৈধ’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দেয়। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ললিত। আজ তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ গ্রহণ করলেন। তিনি হলেন দেশের দ্বিতীয় এমন প্রধান বিচারপতি যিনি সরাসরি বার থেকে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে বসছেন।
শপথ নিয়ে বিচারপতি ললিত জানিয়েছিলেন, সারা বছর যাতে অন্তত একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ চালু থাকে, তার চেষ্টা করবেন তিনি। বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার প্রচেষ্টাও থাকবে। যে বিষয়গুলি অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য সেগুলি নিয়ে একটি ক্লিয়ারকাট ব্যবস্থা থাকবে। কোন মামলাগুলির শুনানি আগে দরকার সেগুলি খুঁজে বের করার জন্য নতুন ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। যাতে বৃহত্তর বেঞ্চ সহজেই রায় দান করতে পারে।