রাজা রায় : ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার নেত্রী হিসাবে বরাবরই লড়াকু। এহেন লড়াকু নেত্রীকে ফের সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব পেয়েই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনকে ঢেলে সাজাবেন।
এর আগে ২০০১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত সভানেত্রী হিসাবে মহিলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। যে সময় রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি তৃণমূল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সমর্থনে মহিলাদের সংগঠিত করে জেলাগুলিতে, বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনায় আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন ।
সাংসদ হিসাবে দিল্লি যাওয়ার পরও ভিন রাজ্যেও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা গড়ে তুলেছেন তিনি। তাঁর সাংগঠনিক নেতৃত্বে সামনের সারিতে উঠে এসেছিলেন স্থানীয় স্তরের লড়াকু মহিলারা।
পরবর্তীকালে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হয়। দেখা যায় বামজমানায় লড়াই-আন্দোলনে সামনে সারিতে থাকা মহিলারা সংগঠকরা চলে যান পিছন বেঞ্চে।
তবে কি, একদা যাদের মিটিং মিছিলে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পাশে দেখা যেত, তাঁদের কি আবার সামনে সারিতে দেখা যাবে?
তিনি নিজেও বারাসতে একটি রক্তদান শিবিরে এসে সাংগঠনিক রদবদলের কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পিছনে মহিলাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো চাইছেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই ধারা বজায় রাখতে। সেই লক্ষ্যেই ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার দলের মহিলা সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন।