নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনে মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই বড় স্বস্তি পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সিবিআইয়ের মামলায় শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এর আগে ইডি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন। ফলে আইনি মহলের মতে, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জেলমুক্তি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
উল্লেখ্য, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ তালিকা বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময়। অভিযোগ, তাঁর আমলে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। পাশাপাশি ২০২২ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পর্ষদ সভাপতির পদ ও বেতন আঁকড়ে রাখেন তিনি। কেন নিয়মভঙ্গ করে তিনি পদে বহাল ছিলেন, সেই প্রশ্নও ওঠে। এই সব অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে ইডি এবং পরে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সিবিআই মামলায় জামিন চাইতে হাই কোর্টে আবেদন করেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই আবেদনের শুনানিতে সিবিআই তাঁর জামিনের প্রবল বিরোধিতা করে। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর দাবি ছিল, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে এবং গুরুত্বপূর্ণ দু’জন সাক্ষীর বক্তব্য এখনও বাকি। তাঁদের সাক্ষ্যগ্রহণ না-হওয়া পর্যন্ত জামিন দেওয়া উচিত নয়। তবে আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।
এদিকে কয়েক দিন আগেই একই নিয়োগ মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখন বেহালার বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। ফলে এই মামলায় ফের একাধিক অভিযুক্তের মুক্তির ধারায় নতুন সংযোজন হল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন।