বৃহস্পতিবার কৌশিকী অমাবস্যা। ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার তিথি আর চার পাঁচটা অমাবস্যার চেয়ে আলাদা। কৌশিকী অমাবস্যার তিথি তারাপীঠের দর্শনার্থীদের সব সময়ই বেশি করে টানে। আর নবরূপে সজ্জিত হওয়ার পর এটাই প্রথম কৌশিকী অমাবস্যা। ভোরেই শুরু তারা মায়ের বিশেষ পুজো। তবে ভক্তদের ঢল শুরু হয়ে গিয়েছে দু’দিন আগেই।
প্রসঙ্গত, তন্ত্র এবং সাধনার জায়গা এই তারাপীঠ। কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক এসে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করে থাকেন। ইতিমধ্যেই রাশিয়া, থাইল্যান্ড, দিল্লি, মুম্বই থেকে সাধু সন্ন্যাসীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। মনে করা হয় মহাশ্মশানে দেবী তারার আবাস! তারাপীঠের মহাশ্মশানে জ্যোতি রূপে বাস করেন দেবী।
ভক্তদের জন্য সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। অগণিত ভক্তের ভিড় ঠেকাতে মন্দির চত্বরে নিরাপত্তাও বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতাধিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। থাকছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা। এছাড়াও ওয়াচ টাওয়ার থেকে দিনভর নজরদারি চালানো হবে।
তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য
কথিত রয়েছে তারাপীঠে সাধক বামাক্ষ্যাপা ১২৭৪ বঙ্গাব্দে এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতেই সিদ্ধিলাভ করেছেন। ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বামাক্ষ্যাপা মা তারার আবির্ভাব পান। এছাড়াও এই তিথিতে দেবী কালিকা কৌশিকী রূপে বিশেষ সন্ধিক্ষণে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের অসুরদের দমন করেন।
কৌশিকী অমাবস্যার তিথি
২০২৩ সালে কৌশিকী অমাবস্যা পড়ছে। ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ২৭ ভাদ্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৫ টা ৩১ মিনিট থেকে পড়ছে তিথি। আর ২৮ ভাদ্র অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে তিথি।