অবিলম্বে খুলে দিতে হবে বিশ্বভারতীর তালাবন্ধ হস্টেল। আর এই কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সাহায্য করবে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর হস্টেল খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের করা মামলায় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কোভিড সংক্রমণে বেশকিছুটা রাশ পড়ায় রাজ্যের আর পাঁচটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই খুলেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ছাত্রাবাসে থাকার কিন্তু ছাড়পত্র মেলেনি। ফলে সমস্যায় পড়েন দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীর। হস্টেলে থাকতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। যার জেরে পঠন-পাঠন একরকম স্তব্ধ হয়ে যায়।
অচলাবস্থা কাটাতে আদালতের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ভার্চুয়াল শুনানিতে কথাও বলেন জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে। আর তারপরই তালাভেঙে হস্টেল খেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
তালা ভাঙার পর ছাত্রাবাসের ঘরগুলিতে যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদের আগে থাকার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে উপাচার্যকেও পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম নেতার অভিযোগ, উপাচার্য নিজে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আর বিশ্বভারতীকে অকেজো করার পরিকল্পনা করছেন। উপাচার্যের সমস্ত পদক্ষেপ আরএসএসের পরিকল্পনামাফিক বলেও মন্তব্য করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।