প্রথম পাতা খবর মেট্রোয় সর্বোচ্চ ১০ কেজি লাগেজ! বিমানবন্দর সংযোগে নতুন ধন্দ, অতিরিক্ত হলে দিতে হবে ফি?

মেট্রোয় সর্বোচ্চ ১০ কেজি লাগেজ! বিমানবন্দর সংযোগে নতুন ধন্দ, অতিরিক্ত হলে দিতে হবে ফি?

147 views
A+A-
Reset

কলকাতা মেট্রোর নয়া তিন রুট চালু হওয়ায় এবার মেট্রোপথে সরাসরি পৌঁছনো যাবে হাওড়া, শিয়ালদহ ও দমদম বিমানবন্দরে। এতে দূরপাল্লার ট্রেন কিংবা বিমানে যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীদের বাড়তি সুবিধা মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লাগেজবিধির জেরে এই সুবিধা কতটা বাস্তবে কার্যকর হবে?

কলকাতা মেট্রো লাগেজ রুল ১৯৮৪ অনুযায়ী, মেট্রোতে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ কেজি লাগেজ বহন করতে পারবেন। নতুন চালু হওয়া তিন রুটেও সেই নিয়ম অপরিবর্তিত। অন্যদিকে, বিমানে একজন যাত্রী ১৫ কেজি লাগেজ এবং ৭ কেজি হ্যান্ডব্যাগ বিনামূল্যে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে, যদি যাত্রীরা বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনে পৌঁছতে মেট্রো ব্যবহার করেন, তাঁদের লাগেজ নিয়ে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মেট্রোতে সর্বোচ্চ ১০ কেজি মাল বহনের অনুমতি, অথচ বিমানে যাত্রার জন্য কমপক্ষে ২০–২৫ কেজি ব্যাগ থাকেই। তাহলে বিমানবন্দরে মেট্রো ব্যবহার করব কীভাবে?”

যাত্রীদের একাংশ অবশ্য বিপরীত মত পোষণ করেছেন। তাঁদের দাবি, অফিস টাইমে ব্লু লাইন বা অন্য রুটের গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে যদি বড় ব্যাগ বহনের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে যাতায়াত আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

তবে বিমানবন্দর এবং হাওড়া–শিয়ালদহমুখী যাত্রীদের দাবি, লাগেজবিধি অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করা হোক। তাঁদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা দিতে চাইলে অন্তত বড় ব্যাগ বহনের অনুমতি বাড়ানো জরুরি।

তবে সূত্রের খবর, অতিরিক্ত লাগেজের জন্য বাড়িতে ফি নেওয়া পরিকল্পনা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “আমরা কারও যাত্রা নষ্ট করতে চাই না। বিমান ধরতে যাঁরা মেট্রো ব্যবহার করবেন, সাধারণত তাঁরা এক বা দু’টি ব্যাগ নিয়েই ভ্রমণ করেন। তাই কাউকে আটকানো হবে না। তবে একাধিক বা বড়সড় লাগেজ থাকলে অতিরিক্ত ফি ধার্য করা হবে।”

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলকাতা মেট্রোর ৮ কোচের রেকগুলিতে আলাদা লাগেজ রাখার জায়গা নেই। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বড় ব্যাগ নিয়ে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে এই নিয়ম আনা হচ্ছে। আপাতত কত টাকা ফি নেওয়া হবে, তা নির্ধারণের কাজ চলছে। যাত্রীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেই ফি এবং নিয়ম স্থির করা হবে।

তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যকেই প্রধান্য দেওয়া হবে।  আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.