রাত ১২টার পর থেকেই বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া। এর আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরাসরি হুঁশিয়ারি — “একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেও আন্দোলন হবে, কমিশন ঘেরাও করা হবে দিল্লিতে।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “একজন বৈধ ভোটার, নাগরিকের নাম বাদ দিলেও প্রতিবাদ হবে। বৈধ ভোটারদের হয়রানি করা হলে এক লক্ষ কর্মী-সমর্থককে নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করা হবে।”
তবে একইসঙ্গে তিনি মানুষকে সংযত ও আইনি পথে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন। কুণাল বলেন, “হিংসা করবেন না, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা আছি, মুখ্যমন্ত্রী আছেন। লড়াই হবে আইন মেনেই।”
এসআইআর নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশেষত গ্রামীণ এলাকায়।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল চাইছে, আইনি লড়াই ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এসআইআরের নামে হয়রানি মেনে নেওয়া হবে না। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই হিংসা নয়।”
আগামী বছরই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে এসআইআরের রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করেছে।
বিভিন্ন নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর গত কয়েক মাসে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে, যা রাজ্যের প্রশাসনকে আরও সতর্ক করে তুলেছে।
ফলে, তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট — “হুঁশিয়ারি থাকবে, কিন্তু হিংসা নয়।”
এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের। আমরা আশা করি, রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করবে।”
এসআইআর প্রক্রিয়ার অধীনে ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
বর্তমানে রাজ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭.৬৫ কোটি, এবং বুথভিত্তিক ম্যাপিং প্রক্রিয়ায় ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ভোটারদের নাগরিকত্ব ও যোগ্যতা।