শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে রাজ্য়ের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বড়ো ঘোষণা করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানালেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে অল্ডেজ পেনশন হিসাবে পেয়ে যাবেন”। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির মাধ্যমে অনেক ফোন এসেছে। তিনি বলেন, “সরাসরি মুখ্য মন্ত্রীতে আমার কাছে অনেক ফোন এসেছে। ৯ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কেস এসেছে। ১২ লক্ষ ইউডো পেনশন এর কেস এসেছে”।
প্রত্যেক মাসে সাধারণ ক্যাটেগরির মহিলারা ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান। এমন একটি প্রকল্প নিয়ে নানান ধরনের গুজব রটেছে। এ প্রসঙ্গের রেশ ধরেই মুখ্য়মন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমরা রাজনীতি কম করি, উন্নতি বেশি করি। কেউ কেউ আছে, সারাদিন কুৎসা করে, গালাগাল দেয়। মনে রাখবেন, খারাপ কথা বললে মন খারাপ হয়। ইতিবাচক মনোভাবের ক্ষতি হয়”।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের উদ্দেশে তাঁর হুঙ্কার, “শুনে রাখো বিজেপি সরকার, আমরা শুধু ভোটের সময় পাঁচ কেজি চাল, আটা দিই না। সারা বছর দিই। আবার ভোট এসেছে, ওমনি ঘণ্টা বাজাতে শুরু করেছে। এই দেব, সেই দেব বলছে। আজকে আর উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত নয়। আজকে উত্তরবঙ্গ উন্নত শির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে”।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে, রাজ্যব্যাপী কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে চলতি রবি মরশুমের জন্য সহায়তা প্রদান করলাম যার মাধ্যমে ১ কোটি ১ লক্ষেরও বেশি কৃষককে মোট ২,৮০৬ কোটি টাকা দেওয়ার শুভারম্ভ হল। পাশাপাশি, সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৮,৭৭৬টি সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার প্রায় ১২ লক্ষ ২৪ হাজার ছাত্রছাত্রীকে নবম পর্যায়ের সাইকেল প্রদানের শুভারম্ভ হল। তদুপরি, মোট ২৮টি জনমুখী প্রকল্পের শুভ শিলান্যাস প্রস্তর স্থাপন করা হল, যার মোট অর্থমূল্য ১১২১.৬৯ কোটি টাকা এবং মোট ১৪টি জনমুখী প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন হল, যার মোট অর্থমূল্য ২৮.১৩ কোটি টাকা। এছাড়াও, এই সভাস্থল থেকে প্রায় ১২,০০০ মানুষকে কোনো না কোনো সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।