শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিয়োনেল মেসি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য শহরে এলেও ফুটবলপাগল কলকাতার উত্তেজনা তুঙ্গে। বিধাননগর পুলিশ মেসির সফরকে কেন্দ্র করে তৈরি করেছে বহুস্তরীয় কড়া নিরাপত্তা। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, অপেক্ষা শুধু আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়কের আগমনের।
কলকাতায় মেসির আগমন নতুন নয়। ২০১১ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নেমেছিলেন তিনি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০১১-র মেসি ছিলেন প্রতিভাবান অধিনায়ক, আর ২০২৫-র মেসি বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি—যাঁর হাতে এখনও বিশ্বকাপের ট্রফির আলো। কয়েক দিন আগেই ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবার এমএলএস কাপ এনে আরও একবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন এলএম টেন।
মেসির সফরসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১.৩০ মিনিটে কলকাতার বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি—সময়সূচি অনুযায়ী তখন কার্যত শনিবার ভোর। কয়েক ঘণ্টার বিশ্রামের পরই শুরু হবে তাঁর ব্যস্ত কর্মসূচি। শনিবার সকাল ৯.৩০ থেকে ১০.৩০—মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান। ১০.৩০ থেকে ১১.১৫—ভার্চুয়াল মূর্তি উন্মোচন। ১১.১৫-তে হোটেল থেকে যুবভারতীর উদ্দেশে রওনা। সকাল ১১.৩০-এ মাঠে পৌঁছবেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। দুপুর ১২টায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। দুপুর ১২টা থেকে ১২.৩০—সেলিব্রিটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ, সংবর্ধনা ও সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতা। সব অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টায় হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন মেসি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টাই কলকাতায় কাটাবেন ফুটবল সম্রাট।
এত বড় আয়োজন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সর্বোচ্চ স্তরের। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের নেতৃত্বে প্রায় ২,০০০ পুলিশকর্মী দায়িত্বে থাকবেন। সঙ্গে থাকছে র্যাফ, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সহায়তা। বিভিন্ন জোন থেকে ইন্সপেক্টর, এসআই, কনস্টেবল নিয়ে আলাদা নিরাপত্তা বলয় গড়া হয়েছে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই।
২০১১ থেকে ২০২৫—চৌদ্দ বছর পর আবার শহরে ফিরছেন মেসি। তাই কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের উত্তেজনা নিজস্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রস্তুতিপর্ব শেষ, শহর অপেক্ষায় শুধু এক নাম—লিয়োনেল মেসি।