শহরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। ছবি: রাজীব বসু
বঙ্গোপসাগরে তৈরি অতি গভীর নিম্নচাপ ক্যানিংয়ের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পরেই দ্রুত শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টিপাতের উপরে।
আবহাওয়াবিদরা অন্তত ন’টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু নিম্নচাপের পথ বেঁকে যাওয়ায় এবং দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়নি। তবু আশার কথা, বর্ষা ঢোকার দিন আর বেশি দূরে নয়।
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, সোমবারের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। যদিও বর্ষার গতিবিধি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। মে মাসের ২৪ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত যে গতিতে মৌসুমি বাতাস অগ্রসর হচ্ছিল, এখন সেই গতি কিছুটা কমেছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কার মতে, মৌসুমি বায়ুর শুরুতে এমন ধীরগতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কয়েক দিন পরে ফের গতি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি সোমবারের মধ্যে বর্ষা না নামে, তাহলে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে আরও অন্তত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তবে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে ২৯ মে, যা সাধারণ সময়ের আগেই। ফলে বর্ষার ঢেউ ধীরে ধীরে দক্ষিণের দিকেও এগোচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মৌসুমি বায়ু একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে বলেও জানিয়েছে মৌসম ভবন।
সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কাটার সম্ভাবনা নেই এখনই। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের বর্ষার দাপট শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন আবহবিদরা।