বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনকে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় দলের জন্যই লিটমাস টেস্ট বলা যেতে পারে। শেষ পাঁচ বছরে কমলনাথ সরকারের ১৫ মাস এবং শিবরাজের সিং চৌহানের প্রায় সাড়ে তিন বছরের সরকার দেখেছে রাজ্যের মানুষ। তার ভিত্তিতেই জনগণ রায় দিতে পারে।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ২ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের মধ্যে ২,২৮০ জন পুরুষ এবং ২৫২ জন মহিলা। একজন প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের। রাজ্যের ২৩০টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। যেখানে, বিএসপি ১৮১ , এসপি ৭১ এবং আম আদমি পার্টি ৬৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আড়াই লাখেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে। সকাল ৭টায় শুরু হয়ে এখানে ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে এখানে ৭৫.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। কমিশন আশা করছে এখানে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট হবে।
এ বার এক দিকে যেমন কমলনাথ এবং দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে, অন্য দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও চারজন সাংসদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
এটা মধ্যপ্রদেশের ১৬তম বিধানসভা গঠনের জন্য ভোটগ্রহণ। পাঁচ বছরে দুটি সরকার দেখা মধ্যপ্রদেশের মানুষের সামনে আবারও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের মুখ ভেসে উঠেছে। কাকে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে তারা বসাতে চলেছে, তা জানা যাবে ৩ ডিসেম্বর, ভোটগণনার দিন।