ট্রলি-কাণ্ডের তদন্তভার নিল মধ্যমগ্রাম থানা। অভিযুক্ত মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে এক দিনের জেল হেফাজতের পর আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিতে চায়। কুমোরটুলি ঘাটে ধরা পড়ার পর খুনের কথা স্বীকার করেছেন ফাল্গুনী।
কলকাতা পুলিশকে এই মামলার কেস ডায়েরি মধ্যমগ্রাম থানার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, পুরো ঘটনার মূল যোগসূত্র মধ্যমগ্রামের সঙ্গে রয়েছে বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ চাইছে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনের পুঙ্খানুপুঙ্খ কারণ উদঘাটন করতে।
মঙ্গলবার রাতে এক মহিলার টুকরো করা দেহভর্তি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে মা-মেয়ে উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি ঘাটে পৌঁছেছিলেন। আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ধরে ফেলেন এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ফাল্গুনী ঘোষ স্বীকার করেন যে, তিনি তাঁর পিসিশাশুড়িকে খুন করেছেন।