মালদহ: ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের ট্যাব কেনার টাকা প্রতারণা কাণ্ডে ফের একজনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চকসেহেরদী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুব্রত বসাক নামে এক যুবককে। জানা গেছে, সুব্রত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই কেলেঙ্কারিতে শুক্রবার পর্যন্ত শুধুমাত্র মালদহ থেকেই মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ট্যাব প্রতারণার জন্য পুলিশ মঙ্গলবার প্রথম একজনকে এবং পরে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। এদের মধ্যে রকি শেখ, পিন্টু শেখ, শ্রবণ সরকার এবং জামাল শেখ সবাই বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের প্রত্যেকেরই সাইবার ক্যাফে রয়েছে, সেখান থেকেই এই প্রতারণা চক্র পরিচালনা করা হত। বুধবার শ্রবণ সরকার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল এসসি সেলের ব্লক সভাপতির ছেলে। তার দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স এবং পেনড্রাইভ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। অভিযোগ, প্রায় হাজার খানেক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা না পড়ে সরাসরি চলে যায় অন্য অ্যাকাউন্টে বা তোলাও হয়ে যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ একাধিক জায়গায় এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।
কলকাতা পুলিশ এই চক্রের তদন্তে নেমে অনুমান করেছে যে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এবং তার আশপাশের এলাকাই এই জালিয়াতির মূল কেন্দ্র। এরই মধ্যে রাজ্যের প্রায় ১৫টি জেলার নাম উঠে এসেছে ট্যাব-কাণ্ডে। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা সাইবার অপরাধীদের হাতে পৌঁছে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।