মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার ওরফে দুলালকে খুনের ঘটনায় বড়সড় চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার মালদহ টাউন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত জন।
পুলিশ এখনও স্পষ্ট করেনি, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি রাজনৈতিক বিরোধ কাজ করেছে। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাবলা সরকারের গোষ্ঠী ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ইতিহাস রয়েছে। বাবলা সরকারের অনুগামীদের সঙ্গে তিওয়ারি পরিবারের বিরোধের ঘটনাও সামনে এসেছে। পুলিশের অনুমান, পুরনো সেই সংঘর্ষের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
২ জানুয়ারি সকালে নিজের কারখানায় যাওয়ার পথে, পাইপলাইন মোড়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন বাবলা সরকার। বাইকে চেপে আসা চার দুষ্কৃতী তাঁকে ধাওয়া করে দোকানের ভিতর ঢুকে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ ঝলঝলিয়া এলাকার আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। তাদের ধরতে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ, সুপারি কিলার ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
মালদহের এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। পুলিশের তরফে দ্রুত তদন্তের অগ্রগতি ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।