মহাকুম্ভ বিতর্কে ফের সরব মমতা, প্রস্তুতির মান নিয়ে তুললেন প্রশ্ন

নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে ফের মহাকুম্ভ প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুম্ভ মেলার প্রস্তুতির মান নিয়ে এ দিন কটাক্ষ করেন তিনি। মহাকুম্ভে একাধিক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আগেও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই সময় ‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দ ব্যবহার করায় বিরোধী শিবিরের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন। এবার তারই জবাব দিলেন মমতা।

মমতা বলেন, “আমরা যতটা ক্যাপাসিটি, ততটাই কাজ করব। হাইপ তুলে বাইরে গিয়ে কিছু করব না। বিয়েবাড়িতে ৪০০ লোক ডাকলে ৫০০ জনের ব্যবস্থা রাখতে হয়, আমরা সেই প্ল্যানিংয়ের কথাই বলেছিলাম। অনেকেই এটা নিয়ে ভুল কথা বলছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে।”

তিনি আরও জানান, কুম্ভ স্নানের বিরোধিতা করেননি, বরং প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে নিয়ম মেনেই পুণ্যস্নান হয়। উল্লেখ্য, মহাকুম্ভের প্রস্তুতি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দও প্রশ্ন তুলেছিলেন।

মমতা বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলা হলে ৫-৬ দিন আমরা কেউ ঘুমোতে পারি না। দুর্গাপুজোর সময়ও নজরদারি করতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু পরিকল্পনার ত্রুটি থাকলে মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়।”

মহাকুম্ভে মৃত্যুর প্রসঙ্গে মমতা আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে সময় রাত জেগে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু মহাকুম্ভের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।

যোগী আদিত্যনাথের আক্রমণের জবাবে মমতা বলেন, “যোগী সাহেব যতই গালাগালি করুন, আমার গায়ে ফোস্কা পড়বে না। আপনারা পোস্টমর্টেম সার্টিফিকেট দেননি, অথচ আমাদের রাজ্যে যা এসেছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”

তিনি দাবি করেন, শুধু মহাকুম্ভে মৃতদেরই নয়, অন্যান্য পথ দুর্ঘটনায় মৃতদেরও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তাঁর বক্তব্য, “যখন ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন, সেটা এক্ষুণি দিয়ে দেওয়া উচিত।”

Related posts

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক