উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয় নিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দার্জিলিঙে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, সেচ দফতর ঠিক মতো কাজ করছে না, তাই এখন থেকে যে কোনও প্রকল্পে পূর্ত দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ভুটান ও ডিভিসিকে দায়ী করে বলেন, ‘‘প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা যায় না। নদীকে নিজের মতো বইতে দিতে হয়। হয় ড্রেজ়িং করো, নয়তো বাঁধ ভেঙে দাও।’’
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভুটানের জলেই উত্তরবঙ্গে এত বড় ক্ষতি হয়েছে, তাই ভুটানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বাংলাকে। তিনি জানান, কেন্দ্র ১৬ অক্টোবর এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে এবং সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
মমতা জানান, উত্তরবঙ্গে এখন পর্যন্ত ৩২ জন মারা গিয়েছেন—দার্জিলিঙে ২১, জলপাইগুড়িতে ৯ এবং কোচবিহারে ২ জন। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিঙে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, বিশেষত মিরিকে। রোহিণী রোড সারাতে অন্তত ২০–২৫ দিন সময় লাগবে। দুধিয়ায় অস্থায়ী হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে বলে জানান তিনি।
মমতা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের নিজস্ব তহবিল তৈরি হয়েছে—‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’। কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য বন্ধ থাকলেও রাজ্য নিজস্ব তহবিল থেকেই দুর্গতদের সহায়তা দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, “গত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্র আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা ও জল স্বপ্নের টাকা আটকে রেখেছে। তবু আমরা সামলাচ্ছি।”