পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত। মঙ্গলবার সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি, ডিভিসির ভূমিকাসহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় জলযন্ত্রণায় ভুগতে হয় ঘাটালকে, তার দায় কেন্দ্র এবং ডিভিসির। জানান, বর্ষা কাটলেই শুরু হবে রাজ্য সরকারের নতুন পরিকল্পনা। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘অ্যাকশন’ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানান মমতা। কেন্দ্র কোনও সাহায্য করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মমতা বলেন, বাংলা নদীমাতৃক দেশ। নেপালে বৃষ্টি হলে যেমন উত্তরবঙ্গে প্রভাব পড়ে, তেমনই পাঞ্চেত-মাইথন থেকে জল ছাড়লে দক্ষিণবঙ্গ প্লাবিত হয়। এবার ডিভিসি রেকর্ড পরিমাণ জল ছেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ডিভিসি ২০ বছর ধরে কোনও ড্রেজিং করেনি। অথচ, ড্রেজিং হলে আরও ১০ হাজার কিউসেক জল ধরে রাখা যেত।
তিনি বলেন, বর্ষা এলেই ডিভিসি চোখ বুজে জল ছেড়ে দেয়। ভবিষ্যতে বাঁধ তৈরি করে সেই জল কীভাবে আটকানো যায়, তা নিয়েও পরিকল্পনা হবে। ডিভিসির ‘অত্যাচার’ আর সহ্য করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-শাসিত বিহার, অসমের মতো রাজ্যগুলি বন্যায় কেন্দ্রের সাহায্য পায়, অথচ বাংলা বঞ্চিত হয়। কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।