কলকাতা: মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এ দিন মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দলের ওই কর্মসূচিতে লোক হয়নি। তাই গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
এ দিনই খড়্গপুরে দুই মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তিনি বলেন, “বিজেপির নবান্ন অভিযানে লোক হয়নি, বেলুন ফুটো হয়ে গেছে, গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই”।
অভিযানের আগেই ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবির। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে আটক করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হাকে। শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাওড়ায় আটক করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
বিজেপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। যেমন, কলকাতার মহাত্মাগান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছোড়া হয় জলকামানও। জগাছা থানার ওসি সতীনাথ চট্টোরাজ-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেন, নবান্ন অভিযান শেষ হল।
আরও পড়ুন: তিন দিক থেকে মিছিল, বিজেপির নবান্ন অভিযানে মেলেনি পুলিশি অনুমতি