আজ, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের সমাবেশ। তার ঠিক আগের দিন, রবিবার ধর্মতলার সভাস্থল পরিদর্শনে এসে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চ পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা—সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সেখানে দাঁড়িয়ে শহিদ দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, “বাংলায় একসময় মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। মানুষকে তালা দিয়ে রাখা হত। তখনই আমাদের আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৫০ জন আহত হয়েছিলেন। এখানে কর্মীরা রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন। তাই শহিদ স্মরণে এই একটাই কর্মসূচি আমরা প্রতি বছর ধর্মতলায় করি।”
সম্প্রতি এই কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা হাই কোর্টে যানজট সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। আদালত কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, সাধারণ মানুষের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আগামী বছর শহিদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা অন্য কোথাও সভার আয়োজন ভাবা যেতে পারে।
কিন্তু সেই বক্তব্যে মোটেও নমনীয় নন মমতা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান চিরকাল চলবে। আর তা এখানেই, ধর্মতলায় হবে। অনেকের আপত্তি থাকলেও শহিদদের স্মরণে এই অনুষ্ঠান বন্ধ হবে না।”
তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে মমতার বার্তা— “ঝড়-জল হলেও শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষ চলে এসেছেন। কালও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন। হয়তো সাধারণ মানুষের কিছুটা সমস্যা হবে, কিন্তু শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধায় এই কর্মসূচি চলবে।”
সরাসরি বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন— “যাঁরা অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করেন, তাঁদের নিয়ে আপত্তি থাকে না কেন? আমাদের একটি কর্মসূচি নিয়ে এত সমস্যা কেন?”