সাধারণ মানুষের জন্য প্রশাসনিক পরিষেবাকে আরও সহজ, দ্রুত এবং ডিজিটালভাবে পৌঁছে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে, তার মধ্যে অন্যতম সফল উদ্যোগ হল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রগুলিতে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ অতিক্রম করেছে এক হাজার কোটি টাকা—তাও খুবই অল্প সময়ে।
স্কলারশিপ, আবাসন, স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিষেবা পাচ্ছেন। সেই পরিষেবার বিনিময়ে যে ফি নেওয়া হয়, তা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কোষাগারে। এই দ্রুত ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়া রাজ্যের ডিজিটাল সক্ষমতা ও নাগরিকদের প্রযুক্তিনির্ভরতার বড় প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, একসময় সরকারি পরিষেবা মানেই ছিল লম্বা লাইন, দীর্ঘ অপেক্ষা আর লাল ফিতের জটিলতা। কিন্তু এখন সেই সব অতীত। প্রশাসনের দরজায় গিয়ে না ঘুরেই নাগরিকরা পরিষেবা পাচ্ছেন নিজেদের পাড়ায়—‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’-র হাত ধরে।
মুখ্যমন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সমস্ত কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এবং তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।