গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯।
ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ। তার আগে সপ্তাহব্যাপী প্রচারে ঝড় তুলতে ময়দানে নামছেন ‘ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে’। লক্ষ্য একটাই- জয়ের মার্জিন আরও অনেকটাই বাড়িয়ে নেওয়া।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। এ বার সেখানেও বিজেপি-কে পিছনে ফেলার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।
সপ্তাহব্যাপী প্রচারে মমতা
দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বকে দিয়ে ঘরে ঘরে জনসংযোগের পাশাপাশি মমতাকে সামনে রেখে এক সপ্তাহ ধরে প্রচারে ঝড় তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধি মেনেই বেশ কয়েকটি ছোটো সভায় উপস্থিত থাকবেন মমতা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) একবালপুরের ইব্রাহিম রোডে প্রচারে থাকবেন মমতা। পর দিন তিনি প্রচার করবেন চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রচার করবেন চক্রবেড়িয়া নর্থ ও পদ্মপুকুর রোডের সংযোগস্থলে। ২৫ তারিখ তিনি সভা করবেন কলিন লেন ও শেক্সপিয়ার সরণি থানার সামনে। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি প্রচার শেষ করবেন নিজের পাড়ায় হরিশ মুখার্জি রোডে।
নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই গত ৮ সেপ্টেম্বর চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে প্রথম কর্মিসভার মধ্যে দিয়েই সরাসরি নিজের আসনে প্রচার শুরু করেছিলেন মমতা। ওই দিনই জানান, “ভবানীপুরের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সংগ্রামে এই অঞ্চলের মানুষের থেকে ভালোবাসা, আশীর্বাদ ও দোয়া পেয়েছি সবসময়। অতীতের মতোই আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে আরও এক বার অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী, বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে ভবানীপুরের মানুষ রুখে দাঁড়াবে”।
টক্কর দেওয়ার আশায় বিজেপি
তবে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেওয়ার আশায় কোমর বাঁধছে বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিগত ভোটগুলিতে ভবানীপুরে বিজেপির ভোট বাড়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক। পাল্টা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপির হেভিওয়েটরাও ময়দানে রয়েছেন।
বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালও বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছেন। নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, “৭০ শতাংশ ভোট ঠিকঠাক পড়লে আমিই জিতব”। তবে পুরোটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী ৪ অক্টোবর, ফলাফল ঘোষণার দিন।
[আরও পড়ুন: আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল, দুর্যোগ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা]