একুশে জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। নির্বাচনের আগে ভারত সরকার এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে। কাউকে রাজস্থান, কাউকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে আবার ওড়িশার জেলে পাঠানো হয়েছে।”
বিজেপির ‘বাংলা বিরোধী’ মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “বাংলা ভাষায় কথা বলাও কি অপরাধ? কে মাছ খাবে, কে মাংস খাবে, সেটা বিজেপি ঠিক করবে? ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে বলে একজন বিজেপি নেতা দাবি করেছেন— এত জনকে বাংলায় পেলেন কোথায়?”
মতুয়া সমাজ ও ওড়িশার নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “মতুয়াদের উপর অত্যাচার চলছে। ওড়িশায় ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরানো হল— তার জবাব কে দেবে? বিজেপি দেবে?”
বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষার পক্ষে সুর চড়িয়ে মমতার হুঁশিয়ারি, “বাংলা রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলের জন্মভূমি। এখান থেকেই জাতীয় সঙ্গীত রচিত হয়েছে। বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাস হলে এই লড়াই দিল্লিতে গড়াবে। দরকারে আবার ভাষা আন্দোলন হবে।”
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পালটা হিসেবে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “তৃণমূল সরকার গরিবদের বাড়ি দিয়েছে, ধর্মস্থানগুলির উন্নয়ন করেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। বাংলার অগ্রগতিতে ভয় পেয়েই বিজেপি বঞ্চনার রাজনীতি করছে।”
শেষে মমতার দৃপ্ত ঘোষণা, “বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা মনে আছে? আমি ছাড়ার লোক নই।”