ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় বারবার অমিত শাহের আসাকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, “হোম মিনিস্টার দেশ চালাবে? কলকাতায় বসে অমিত শাহ চক্রান্ত করছে কাকে থ্রেড করা যায় ,চক্রান্ত করা যায়। নির্বাচন কমিশনকে কুক্ষিগত করার চক্রান্ত করছেন তিনি।আমি বলবো নির্বাচন কমিশন সঠিক ভাবে কাজ করুক।
বিজেপি গায়ের জোরে ভোট করাতে চাইছে। গুন্ডা এনে ভোট করানোর পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, “বিজেপি সরকার সরকারি কর্মীদের হেনস্থা করছে। রাজনৈতিক নেতাদের হয়রান করছে। রেল স্টেশনে গুন্ডা আনিয়ে ভোট করাতে চাইছে। কিন্তু আমি তা হতে দেব না।”
বিজেপির নেতাদের কাজ নেই কর্ম নেই। কৃষকরা বসে আছে হরিয়ানায় ৬ মাস ধরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে না। এখানে বসে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চক্রান্ত করে। কী করে মমতাকে মারা যায়, ভোট লুঠ করা যায়, তার চক্রান্ত চলছে। মুখ্য সচিবকে গতকাল চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই।
বিজেপির মতো হোটেল থেকে খাবার কিনে তফশিলির সঙ্গে রাজনীতি করি না। আমায় যে দু-বেলা ভাত রেঁধে দেয় সে বাউড়ি মেয়ে। আমাদের সবার রক্ত এক। আমরা সব করব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কথা বলা বন্ধ করে দেবে। ভোটের সময় আপনার টাকা আপনাকেই ঘুষ দেয়। ‘বিজেপি, আমায় খুন করলেই জিতে যাবে ভেবেছ?
আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন স্বপন দাশগুপ্ত
আগে বিনা পয়সায় মানুষকে গ্যাস দাও। আমারা বিনা পয়সায় খাদ্য দিচ্ছি, ৫ লক্ষ টাকায় স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিচ্ছি। তাহলে কেন বিনা পয়সায় গ্যাস দেবে না? প্রশ্ন মমতার? ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হবে। বাঁকুড়ায় বললেন মমতা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অভিভাবক মেয়েরা, কারণ মেয়েরাই সংসার চালায়। মেয়েরা তাঁদের বাবা-মায়ের চিকিত্সাও এই কার্ডে করাতে পারেন। ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী হবে। তাঁদের ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। হোম ট্যুরিজমে আরও উৎসাহ দেখাচ্ছে সরকার। এরকম আরও কাজ করব। বাঁকুড়ায় বললেন মমতা।
ভোটের সময়, ৫০০, ১০০০, ৫০০০ টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায়। ভোট কিনতে গেলে ভোট বাক্সে উল্টে দেবেন। বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বললেন মমতা। এই ভোটটা আমার ভোট, না জিতলে সরকার গড়তে পারব না। আগে বলল দেব উজালা, এখন দেখছি হরবোলা। মিথ্যা কথার ডুগডুগি বাজায়। কটাক্ষ মমতার। একটা করে ভোট, একটা করে খেলা। আমি আহত বাঘ, আমি ভয়ঙ্কর। সবার সাপোর্টে আমি খেলব। খেলাও হবে, জেতাও হবে, বাংলা জিতবে, দিল্লি হারবে। লড়াইয়ে মা-বোনেরা সামনে থাক।