একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: রাজীব বসু
২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস ঘিরে হাই কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণের আবহে সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে কড়া সুরে প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ধর্মতলায় সভামঞ্চ ঘুরে তিনি বলেন, “নবান্ন অভিযানে যখন অনুমতি ছাড়া রাস্তায় নামা হয়, তখন আপত্তি কোথায় থাকে?”
হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই শহরে যানজট এড়াতে তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচিতে মিছিলের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার পর কোনও মিছিল ঢুকতে পারবে না কলকাতা পুলিশের এলাকায়। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ধর্মতলার সভাস্থলের পাঁচ কিমির মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে মিছিলে।
এই নির্দেশ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “প্রায় ৩৩ বছর ধরে শহিদ দিবসের কর্মসূচি ধর্মতলায় হয়, কারণ এখানে ১৩ জন শহিদের রক্ত ঝরেছিল। আমাদের আন্দোলন সিপিএম দমন করতে পারেনি, তাই গুলি চালানো হয়েছিল। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একমাত্র এই কর্মসূচি আমরা পালন করি।”
মমতা আরও বলেন, “তৃণমূল দেখে অন্যরা সভা করে, আমরা কিন্তু কাউকে দেখে কিছু করি না। বরং আমাদের থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
অন্যদিকে, এই কর্মসূচিকে ঘিরে বামপন্থী আইনজীবী সংগঠন এআইএলইউ হাই কোর্টে মামলা করেছে। তাঁদের দাবি, যানজটের জেরে ফেরি বন্ধ থাকে, আদালতের কাজ স্থগিত হয়, অফিসযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ শুনানির সময় বলেন, “আগামী বছর থেকে শহিদ মিনার বা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করা যায় কি না, তা ভাবতে হবে।” যদিও এই মন্তব্য পর্যবেক্ষণ মাত্র, আদেশে তার উল্লেখ নেই।
সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা বার্তা— “আমাদের পথ আটকে সভা নিয়ে এত প্রশ্ন, অথচ অনুমতি ছাড়া অভিযানের সময় মুখে কুলুপ কেন?”