এর আগে ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাত জেগে নবান্নে থেকে রাজ্যের পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মঙ্গলবার মাঝরাতে আচমকাই উত্তরবঙ্গের রাজ্য প্রশাসনের প্রধান সচিবালয় উত্তরকন্যায় হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠাৎ পদক্ষেপে পুলিশ ও প্রশাসনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সহ শীর্ষ কর্তারা দ্রুত পৌঁছে যান উত্তরকন্যায়।
তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার দুপুরেই শিলিগুড়ি পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির কাছে কন্যাশ্রী অতিথি নিবাসে রাত কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পড়শি দেশ নেপালে অশান্তি শুরু হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর ফলে ইন্টারনেট ও ফোন যোগাযোগে সমস্যার মুখে পড়েন মমতা। নেপালের পরিস্থিতি সম্পর্কেও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই রাতেই কন্যাশ্রী থেকে উত্তরকন্যায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি সর্বভারতীয় নেত্রীও। ইন্টারনেট সমস্যায় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তিনি বাধ্য হয়ে উত্তরকন্যায় নিজের ঘরে বসেই কাজ শুরু করেন। পার্শ্ববর্তী দেশে অশান্তি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী খুব উদ্বিগ্ন।”
উত্তরকন্যায় পৌঁছে নিজের ঘরে কাজ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। খবর ছড়িয়ে পড়তেই একে একে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা উত্তরকন্যায় হাজির হন। আজ, বুধবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। উত্তরকন্যা থেকেই সেই সভার প্রস্তুতি নেন তিনি। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার সময়ও নেপালে শান্তি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।