ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো পেলেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই ও বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার কৃতিত্বের জন্যই তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মান দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার পর মাচাদোর মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। কারণ, তিনি ঘোষণা করেছেন, “আমি এই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করছি রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, আমেরিকার জনগণকে, দক্ষিণ আমেরিকার এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে।”
ট্রাম্পকে কেন পুরস্কার উৎসর্গ করলেন—এই প্রশ্নের উত্তরে মাচাদো বলেন, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনের সংগ্রামে আমরা রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের দৃঢ় সমর্থনের উপর নির্ভর করি। তাঁর সহায়তা আমাদের আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও শক্তিশালী করেছে।”
তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই পুরস্কার মূলত উৎসর্গ করা হয়েছে ভেনেজুয়েলার সেই সাধারণ নাগরিকদের, যারা বছরের পর বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন।
মাচাদো বলেন, “এই পুরস্কার আমাদের জনগণের। তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকেই আজ বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে”।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়ার্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, “ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলগুলি একসময় বিভক্ত ছিল। সেই দলগুলিকে একত্রিত করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলেছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তাঁর নেতৃত্ব ও সাহসিকতাকেই আমরা সম্মান জানাচ্ছি।”
চলতি বছরে ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল নোবেল শান্তির জন্য—এর মধ্যে ৯৪টি সংগঠন এবং ২৪৪ জন ব্যক্তি। সেই তালিকায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ও, যিনি প্রকাশ্যে নিজেকে “নোবেল পাওয়ার যোগ্য” বলে দাবি করেছিলেন।ট্রাম্প যদিও এবার নোবেল পাননি, তবে মাচাদোর এই উৎসর্গের পর মার্কিন রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, এটি একদিকে কূটনৈতিক বার্তা, অন্যদিকে ট্রাম্পের বৈশ্বিক অবস্থান পুনর্গঠনের সুযোগ।