ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ভূমিকম্প। চিনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এর ফলে অনেক বড়ি ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। দুই প্রদেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১১। আহত বহু। ধ্বংসস্তূপের নীচে যারা আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে গানসু-সহ কুইনঘাই প্রদেশের বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘর-বাড়ি চাপা পড়ে ঘুমের মধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, কেবল কুইংঘাই প্রদেশের হাইদোং শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভূমিকম্পের জেরে তীব্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। নিরাপত্তার খোঁজে মানুষ এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। নিউজ এজেন্সি জিনহুয়া সূত্রের খবর। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পের পর জীবিতদের উদ্ধারকাজ এবং তাঁদের সম্পত্তি রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সঙ্গে ত্রাণ পরিষেবাও।
উল্লেখ্য, চিনে এই ধরনের ভূমিকম্প খুব একটা নতুন নয়। চলতি বছরের অগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। যেখানে প্রাণ হারান ২৩ জন। তারও আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তবে ২০০৮ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটেছিল। সেবার ৭.৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে প্রায় ৮৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হয়ে যায় প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি স্কুল পড়ুয়া।