মেছুয়াবাজার অগ্নিকাণ্ড: পৃথক ভাবে দুটি মামলা রুজু পুলিশ ও দমকলের

কলকাতার বড়বাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশের। পুলিশ ও দমকল পৃথক ভাবে দুটি মামলা রুজু করেছে। হোটেল মালিক আকাশ ও অতুল চাওলাকে খুঁজছে পুলিশ, যদিও তাঁরা ঘটনার পর থেকে পলাতক।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টি এলাকার হোটেল ‘ঋতুরাজ’-এ। প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হোটেলের ঘর, সিঁড়ি এবং ছাদ মিলিয়ে উদ্ধার হয় ১৩টি দেহ। আর এক জন প্রাণ হারিয়েছেন নিচে ঝাঁপ দিয়ে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, অধিকাংশের মৃত্যু শ্বাসরুদ্ধ হয়ে। ধোঁয়ায় হোটেলটি যেন রূপ নিয়েছিল গ্যাস চেম্বারে। দেহগুলির মধ্যে কারও কারও শরীরে পোড়ার দাগও পাওয়া গিয়েছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে উপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই শিশু, দুই মহিলা এবং বিহার, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা। নাম পাওয়া গিয়েছে যেমন— নীরজকুমার বর্মা (২৯), রাজেশকুমার সান্তুকা (৬১), আকৃতি ও কমল নাভালগড়িয়া, এবং তামিলনাড়ুর দুই শিশু পি রিথন (৩) ও পি দিয়া (১০)।

এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। দমকলও অগ্নি নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্য আলাদা মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত হোটেল মালিকেরা— আকাশ ও অতুল চাওলা— হাওড়ার সাবার্বান পার্ক রোডের লক্ষ্মী নারায়ণ অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা হলেও, তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে থাকছেন না বলে দাবি তাঁদের কাকার। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা নিখোঁজ।

তাঁদের খুঁজে লালবাজার পুলিশের একটি বিশেষ দল ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন আকাশ ও অতুল আত্মসমর্পণ করুন। এখন নজর তদন্তে এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবিতে।

Related posts

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক