গুরু নানকের জন্মদিনে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা মোদীর

ডেস্ক: গুরু নানকের জন্মদিনে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করল কেন্দ্র।তিনি জানিয়েছেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলেই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ আন্দোলনরত কৃষকদেরও বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের মঙ্গল কামনা করেই কৃষি আইন আনা হয়েছিল। কৃষকদের বোঝানোর ক্ষেত্রে সম্ভবত সরকারেরই কোনও ব্যর্থতা ছিল৷ 


এ দিনের বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সকলকে গুরুনানক জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে দেড় বছর পর করতারপুর করিডর খুলে যাওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। গুরু নানকের কথা উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুরুনানকজী বলেছিলেন সেবাই জীবনের ধর্ম। আমাদের সরকারও এই কথা অনুধাবন করেই চলে। বছরের পর বছর ধরে দেশের ছেলেমেয়েরা যে স্বপ্নগুলি দেখেছিল, তা আজ পূরণ করার চেষ্টা করছে সরকার।”


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’

আরও পড়ুন: তৃণমূলের পথে কংগ্রেস, CBI-ED প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতায় মামলা সুপ্রিম কোর্টে


দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি কৃষক এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।” আসলে প্রধানমন্ত্রী এদিন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি দেশের কৃষকদের ভালর জন্যই এই আইন এনেছিলেন। শুধু সামান্য কিছু কৃষকের জন্য তাঁর সেই মহান উদ্দেশ্য পূরণ হল না। 


এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এই কৃষক বিক্ষোভ মোদী সরকারের জন্য রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই বিক্ষোভ প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা হলেও পিছু হটেননি কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের ভোটের আগে আইন প্রত্যাহার না হলে, তার প্রভাব যে ভোটবাক্সে পড়বে ভালই বুঝতে পারছিলেন মোদি। সম্ভবত সেকারণেই এই আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।

Related posts

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক