ডেস্ক: সপুত্র তৃণমূলে ফিরেই নিজের কাজ শুরু করে দিলেন মুকুল। আর ঘরে ফিরেই ফের শুরু হয়ে গিয়েছে দল ভাঙানোর খেলা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েকবছরে মুকুল রায়ের এই খেলার সঙ্গে পরিচিত গেরুয়া শিবির। সেকারণে রাতের ঘুম উড়েছে বিজেপির অনেকেরই।পুরনো দলে এসেই ফোন করেছেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের। বেছে বেছে অনেককেই ফোন করেছেন তিনি।অভিষেকের হাতে ৩৫ জন বিজেপি নেতার একটি তালিকা তুলে দিয়েছেন বলে খবর।
বলা বাহুল্য, ওই সমস্ত নেতার দলবদলের সম্ভাবনা তীব্র। তাঁরা কারা, তা বুঝে উঠতেই এখন হিসেব কষছে গেরুয়া শিবির।
শুধু নামের তালিকা তৈরি করেই ক্ষান্ত নেই সদ্য তৃণমূলে ফেরা ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’ মুকুল রায়। সেই নাম নিয়ে তিনি আলেচনায় বসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে সেইসব নাম নিয়ে। এখন দেখার কারা বিজেপি ছেড়ে আসেন তৃণমূলে।
উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল, যেখানেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক-নেতা রয়েছেন, তাঁদেরই নিশানা করেছেন মুকুল। সূত্রের খবর এমনটাই। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছিল। কিন্তু সাংসদ পদে থাকা অবস্থায় দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে বিধানসভা ভোটে লড়ে জেতা নীশিথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়ে যায় ৭৫। শুক্রবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই সংখ্যা কমে এখন ৭৪। আর তারপরই যেভাবে বিজেপি ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাতে সেই সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে, তা নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: G-7 Speech: ‘এক পৃথিবী এক স্বাস্থ্যে’ জোর, প্রধানমন্ত্রীর
আগামী দিনে সর্বভারতীয় স্তরে কীভাবে তৃণমূলের বিস্তার সম্ভব, তা নিয়েও উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যোগদানের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারত-নেত্রী বলে সম্বোধন করেন মুকুল রায়। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের মুখ করে তুলতে তিনিও যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়ক হবেন, তা বলাই বাহুল্য।