মুম্বইয়ে ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনা, ৫৬ জনকে বাঁচিয়ে প্রশংসিত এক কার্গো ক্যাপ্টেন

মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে একটি কার্গো জাহাজে মাল বোঝাই করতে দেরি হওয়ায় বেঁচে গেলেন ৫৬ জন পর্যটক। সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাণ বাঁচালেন ক্যাপ্টেন আনমোল শ্রীবাস্তব।

গত ২০ ডিসেম্বর, গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টা দ্বীপের দিকে রওনা দেওয়া পর্যটকবাহী লঞ্চ নীল কমল হঠাৎই ভারতীয় নৌসেনার একটি স্পিডবোটের ধাক্কায় উলটে যায়। লঞ্চে ১০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন প্রাণ হারান এবং একজন এখনও নিখোঁজ।

সেসময় জওহরলাল নেহরু বন্দরে বড় কার্গো জাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন শ্রীবাস্তব, । কার্গো লোডিংয়ে বিলম্বের কারণে তিনি বন্দরে উপস্থিত ছিলেন। লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, লঞ্চটি প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে। যাত্রীরা, যাঁদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাও ছিলেন, লঞ্চের ধ্বংসাবশেষ আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিছু অভিভাবক তাঁদের শিশুদের জল থেকে উপরে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ক্যাপ্টেন শ্রীবাস্তব এবং তাঁর ক্রু তৎক্ষণাৎ উদ্ধারকাজ শুরু করেন। তাঁরা লাইফবয়, লাইফ জ্যাকেট এবং স্টিলের মই নামিয়ে যাত্রীদের তাঁদের নৌকায় তুলতে থাকেন। প্রথমে শিশু, তারপরে বয়স্ক এবং শেষে পুরুষ যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।

শুধু ১২ জন ধারণক্ষমতার নৌকাতেই তিনি ৫৭ জনকে উদ্ধার করেন। যদিও উদ্ধার হওয়া এক সাত বছরের ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, এমনকি জার্মান পর্যটকদের সঙ্গে মিলে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।

এই সাহসিকতার জন্য জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসে ক্যাপ্টেন শ্রীবাস্তবকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করে ক্যাপ্টেন বলেন, “সমুদ্রযাত্রায় প্রাণ রক্ষার দায়িত্বের (SOLAS) নীতিগুলি আমাদের শেখানো হয়। এটা সৌভাগ্যের বিষয় যে আমরা ঘটনাস্থলের কাছে ছিলাম।”

Related posts

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?