ঠাকুরপুকুরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ ঘর থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যার ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বুধবারই ওই এলাকায় ভাড়া এসেছিলেন মৃত মহিলা। এর ঠিক পরদিনই এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবেশীদের ধারণা, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “দুপুরে ঘটনাটি জানতে পারি। এসে দেখি বাড়ির সামনে প্রচুর পুলিশ।” তিনি জানান, এর আগে ওই এলাকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের আরও বক্তব্য, মৃতা তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন, তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামীর কোনও খোঁজ নেই।
খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদেরও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। উপস্থিত রয়েছেন ডেপুটি কমিশনার পদস্থ পুলিশকর্তারা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও নমুনা সংগ্রহ করছেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।